জন্মগত বধিরতা প্রতিরোধে আশার আলো দেখাচ্ছে নতুন জিন থেরাপি চিকিৎসা!




সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের Juntendo University ও University of Tokyo-এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের UC Irvine School of Medicine-এর একদল গবেষক সম্মিলিতভাবে জন্মগত বধিরতা নিরাময়ের এক যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন Juntendo University-এর Kazusaku Kamiya এবং University of Tokyo-এর Osamu Nureki।



তাঁরা মূলত একেবারে জন্ম থেকে বধির ব্যক্তিদের শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে আনার এক কার্যকর ও মানবিক উপায় আবিষ্কার করেছেন। এই গবেষক দলটি GJB2 নামক একটি ত্রুটিপূর্ণ জিন সংশোধনের জন্য একটি বিশেষায়িত ভাইরাল জিন থেরাপি তৈরি করেছেন।



এই জিনটি Connexin 26 নামক একটি প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা কানের কোষগুলোর মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেত আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আর এই সংকেতের মাধ্যমেই শব্দ মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং শ্রবণ সম্ভব হয়।



এই জিন থেরাপিতে একটি ভাইরাসকে এমনভাবে রূপান্তর করা হয়, যাতে এটি কানের ভেতরের কোষে সঠিক জিনটি পৌঁছে দিতে পারে। ফলে কানের স্পর্শকাতর কোষগুলো শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়।



এই চিকিৎসার পর, জন্ম থেকে বধির অনেক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকেই প্রথমবারের মতো শব্দ শুনতে শুরু করেছেন। এই থেরাপির মাধ্যমে বধির শিশু ও ব্যক্তিরা বৃষ্টির শব্দ, পায়ের আওয়াজ, এমনকি সঙ্গীতও সীমিতভাবে হলেও শব্দ শনাক্ত করতে পারছেন।



এই যুগান্তকারী গবেষণাটি চলতি ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত হয় এবং এটি এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। তবে গবেষকরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে এই থেরাপি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ বধির মানুষের জীবনে শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে আনার এক নিরাপদ ও কার্যকর উপায় হয়ে উঠতে পারে।



পরিশেষে আশা করা যায় যে, বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কৃত এই মূল্যবান জিন থেরাপির মাধ্যমে জন্ম থেকে বধির ব্যক্তির শ্রবণশক্তি অনেকটাই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। যা আগামীতে সারা বিশ্বে বধির ব্যক্তিদের জন্য এক আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।



তথ্যসূত্র: ScienceDaily, Science Japan, Bioengineer.org



সিরাজুর রহমান
শিক্ষক ও লেখক
সিংড়া, নাটোর, বাংলাদেশ
sherazbd@gmail.com



লেখকের নোট:

এই প্রবন্ধটি অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক সিরাজুর রহমান কর্তৃক রচিত হয়েছে। তবে এই লেখার ভাষা পরিমার্জন ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য AI টুলের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাপানো পবিত্র কুরআন মাজীদ!

ইএল ক্যাপ্টেন' এক অবিশ্বাস্য দ্রুত গতির সুপার কম্পিউটার!

প্রাণের খোঁজে শনির চাঁদ টাইটানে নাসার এক বৈপ্লবিক “ড্রাগনফ্লাই” স্পেস মিশন!