Posts

মঙ্গল গ্রহ জয়ের পথে মানব জাতির কিছু সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যত সম্ভবনা!

Image
  মহাকাশ জয়ের সূচনা মাত্র ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও মানবজাতি আজ উচ্চ মাত্রায় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং উন্নয়নের বদৌলতে মঙ্গল গ্রহে পা রাখার সোনালী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। যদিও অবশ্য আমরা আজো আমাদের সুবিশাল সোলার সিস্টেমের যে কোন প্রান্তে নভোচারীসহ সাবলীলভাবে বিচরণে শক্তিশালী স্পেসক্রাফট বা মহাকাশ যান ডিজাইন করতে পারেনি। তবে আমাদের সকলকে মানতে হবে যে, মানবজাতি আজ কিন্তু পৃথিবীর ভুখন্ডে বসে বা মহাকাশ স্টেশন বাঁ স্যাটালাইট থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক টেলিস্কপ বা স্যাটালাইট সিস্টেম দ্বারা হাজার আলোকবর্ষ দূরে থাকা গ্রহ , নক্ষত্র , নীহারিকা , ছায়াপথ সহ অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু খুজে বের করে তা পর্যবেক্ষণের মাধম্যে এর সঠিক অবস্থান এবং গতি প্রকৃতি বা পরিবেশ সনাক্তকরণের যথেষ্ঠ প্রযুক্তি গত সক্ষমতা অর্জন করেছে। আর এই বৈপ্লবিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রতি নিয়ত মহাবিশ্বের অনেক অজানা রহস্য ও অতি মহাজাগতিক তথ্য উপাত্ত আজ আমাদের সামনে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।   তবে এটা ঠিক হাজারো আলোক বর্ষ দূরের গ্রহ নক্ষত্র বা মহাজাগতিক বস্তু দেখা ও পর্যবেক্ষণের প্...

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যত প্রজন্ম গঠনে চাই নিরাপদ এবং শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশঃ

আমাদের দেশের উচ্চবিত্ত এবং ধনী পরিবারের অভিভাবকদের মধ্যে শিশুকে অল্প বয়সেই উন্নত শিক্ষা লাভের আশায় দেশের সেরা অনাবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিম্বা আবাসিক বা হোস্টেল ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং প্রেরণের হার ও প্রবণতা অত্যন্ত বেশী। যা কি না শতকরার হিসেবে ৬০% পর্যন্ত হয়ে থাকতে পারে। আমাদের দেশে সাধারনত স্বচ্ছল এবং ধনী পরিবারগুলো তাদের সন্তাদের আধুনিক এবং মান সম্মত শিক্ষা অর্জনের স্বার্থে শিশু প্রতি মাসিক ১৫,০০০-২২,০০০ টাকা পর্যন্ত বা এমনকী তার বেশী অর্থ ব্যয় করতে এবং পাশাপাশি শিশুর বয়স এবং সামর্থ্য বিবেচনা না করেই আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করতে কোনরুপ দ্বিধা বা বাছ বিচার করেন না। এক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্য বা প্রত্যাশা হলো তাদের আদরের সন্তান ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষিত এবং সমাজে উচ্চ শ্রেণি ভিত্তিক কর্ম ও জীবিকায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবে। আসলে এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা অনেকটাই অজান্তেই আমাদের লোভ বা ভবিষ্যত চাওয়া পাওয়াকে আমাদের কোমলমতি শিশুদের উপর চাপিয়ে দিচ্চি না তো? এখানে প্রথমত আমাদের অনুধাবণ করতে হবে যে, ৫+ থেকে ১৪+ পর্যন্ত বয়সী শিশুকে বিশেষ করে শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট চলাকালী...

দক্ষিণ চীন সাগরে আবারো মার্কিন-চীন সামরিক উত্তেজনা এবং পাল্টা-পাল্টি হুমকী!

Image
দক্ষিণ চীন সাগরের সমগ্র অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং সামরিক হুমকী মোকাবেলায় মার্কিন নৌ বাহিনীর এশিয়া প্যাসিফিক নেভাল ইউনিট তদের বহরে থাকা অত্যন্ত শক্তিশালী (Arleigh Burke Class) গাইডেড মিসাইল ড্রেসট্রয়ার দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করেছে। এর তীব্র প্রতিবাদ স্বরুপ সাম্প্রতিক সময়ে চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির স্ট্যাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ইউনিট চীনের উত্তর পশ্চিম সমুদ্র ত ীরবর্তী অঞ্চলে তাদের কথিত শীপ এণ্ড ক্যারিয়ার কিলার খ্যাত অজানা সংখ্যক মোবাইল লাউঞ্চ বেসড ডিএফ-২৬ এন্টিশীপ ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতায়েন সম্পন্ন করে। এদিকে পিএলএ একাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল লুও ইউয়ান অভিমত প্রকাশ করেন যে, দক্ষিণ সাগরের বিরোধের স্থায়ী নিষ্পত্তির জন্য ভবিষ্যতে আগ্রাসী মার্কিন যে কোন জাহাজ কিম্বা ক্যারিয়ারকে চীনের সামরিক বাহিনী কর্তৃক সরাসরি ধ্বংস বা ডুবিয়ে দেবার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। নিউক্লিকয়ার এন্ড কনভারশনাল ওয়ারহেড সমৃদ্ধ ডিএফ -২৬ ব্যালেস্টিক মিসাইলটি ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো পিএলএ এর স্ট্যাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ...

বন্ধ হোক মধ্যপ্রাচ্যের ভয়ঙ্কর মাত্রায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং প্রভাব বিস্তার!

Image
২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া আরব বসন্তের ভয়াবহ প্রভাব এবং পাশাপাশি সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া এবং ইয়েমেনে চলমান দীর্ঘ মেয়দী অস্থিতিশীল যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বাদশা এবং আমির শাসিত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সর্ম্পকে চরম সন্দেহ ও অবিশ্বাস বিরাজ করছে। তাছাড়া বৈশ্বিক সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক শক্তিধর দেশ সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইরানের চরম মাত্রায় প্রভাব বিস্তার ও প্রতিযোগিতার   ফলে উপসাগরীয় দেশগুলোর মাঝে বাড়ছে ভয়াবহ অস্ত্র প্রতিযোগিতা। আর এই সুযোগেই সারা বিশ্বব্যাপী অস্ত্র উ ৎপাদনকারী দেশ এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলে প্রাণঘাতী মাল্টি বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ব্যবসা র ফাঁদ খুলে বসেছে। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ আরব দেশেই অভিজ্ঞ পাইলট না থাকলেও , তবু দুই তিনগুণ বেশী দামে নির্বিচারে কেনা হচ্ছে যুদ্ধবিমান এবং সামরিক সাজ সরঞ্জাম । মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র কাতারের সামরিক সক্ষ মতার জন্য পরিচিতি কখনো ই ছিল না। অথচ আমির শাসিত কাতারের সামরিক বাহিনী অতি ক্ষুদ্র আকারের হওয়া স্বত্তেও সৌদি আরবের বৈরীতা এবং হুমকীর মুখে তার...

পবিত্র আল কুরআনে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তাঃ

Image
পবিত্র আল কুরআনে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তাঃ লেককঃ সিরাজুর রহমান ( Sherazur Rahman) - ০১৭১৪৬৬০০৫০ মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তালা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর যুগে যুগে মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য নবী রাসুলদের উপর প্রেরণ করেন মহান আসমানি কিতাব। আর সর্বশেষ বিজ্ঞানময় এবং মানবতার মুক্তি স্বরুপ পবিত্র আল কুরআন মানব জাতিকে দান করেছেন মহান আল্লাহ তালা। আল্লাহ তা‘আলা তার মনোনিত জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতিকে অন্ধকারচ্ছন্নতা এবং কুসংস্কার থেকে মুক্তিদানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর যে পবিত্র আসমানী কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আল কুরআন। তাই প্রকৃত ইসলামের পথে চলতে হলে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী পবিত্র আল কুরআন পড়তে ও জানতে হবে। আমরা যদি নিজেকে প্রকৃত মুসলমান হিসাবে দাবী করতে চাই এবং মহানবী (সাঃ) এর দেখানো আদর্শকে অনুসরণ করতে চাই , তাহলে অবশ্যই সর্ব প্রথম কুরআন চর্চা এবং শিক্ষা অর্জন করতে হবে। কুরআন শিক্ষা করা এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে , আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মুসলিম ব...