মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টারের প্রকাশিত এক তথ্যমতে, আফগানিস্তানে তালেবান বিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে মার্কিন বোম্বার, কমব্যাট ড্রোন এবং ফাইটার জেটগুলো ২০১৯ সালের জানুয়রি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে রেকর্ড পরিমাণ ৭,৪২৩ টি হাই এক্সুসিভ বোম্বস আকাশ থেকে ফেলেছিল। অথচ এই বিমান হামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আফগানিস্তানের সাধারণ এবং নিরহ মানুষ মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং হতাহত হয়। আর ২০০৯ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠি নির্মুলে এর লক্ষ সেনা মোতায়েন করে এবং এ পর্যন্ত এই যুদ্ধে জড়িয়ে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ব্যয় করে গেলেও সফলতা প্রাপ্তির হার খুবই নগন্যই বলা চলে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ২৮শে জানুয়ারি ২০২০ এ কাবুলের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে গজনি প্রদেশের দেহ ইয়াক জেলায় একটি মার্কিন বোম্বার্ডিয়ার ই-১১এ বিমান ক্রাস করলে আফগান তালেবানরা তা গুলি করে বিধ্বস্ত করার দায় স্বীকার করেছে।
এক লিজেন্ডারী যুদ্ধবিমান এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেটঃ
আশি ও নব্বইয়ের দশকে আমেরিকা এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ক্যারিয়ার বেসড একটি নতুন সিরিজের যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনে৷ যা ছিল কিনা এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেট। ততকালীন সময়ে এটি সারা বিশ্বে ব্যাপক সারা ফেলে দেয়। মূলত দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট এফ-১৪ টমক্যাট যুদ্ধবিমানের ব্যবহারকারী দেশ ছিল আমেরিকা ও ইরান। অথচ গত ২০০৬ সালে তার নৌবাহিনীতে অপারেশনাল থাকা প্রায় চার শতাধিকের অধিক এই সিরিজের যুদ্ধবিমান সার্ভিস লাইফ টাইম শেষ হওয়ার আগেই এক সাথে অবসরে পাঠিয়ে দেয় ইউএস নেভাল ফোর্স। আমেরিকার নৌবাহিনী ২০০৬ সাল থেকেই সার্ভিসে আনে নতুন এফ-১৮ হর্নেট ক্যারিয়ার বেসড যুদ্ধবিমান। তবে বর্তমানে খুব সম্ভবত ইরানের বিমান বাহিনীতে ১৮টি থেকে ২৪টি এফ-১৪ টমক্যাট যুদ্ধবিমান রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে সচল রাখা হয়েছে। যদিও ইরানের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতায় এই যুদ্ধবিমানের একটি বড় অংশ মর্ডানাইজেশন এবং রিপিয়ার মেইন্টেনেন্সের অভাবে অনেক আগেই গ্রাউন্ডেড হয়ে পড়ে রয়েছে। আমেরিকার এভিয়েশন জায়ান্ট নরথ্রপ গ্রুম্যান এ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের তৈরি এফ-১৪ টমক্যাট ১৯৭৪ সালে প্রথম সার্ভিসে আসে এবং মোট ৭১২টি এই জাতীয় এডভান্স জেট ফাইটার তৈরি করেছিল
Comments
Post a Comment