এক বিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো আবারো নতুন করে চন্দ্র বিজয়ের নেশায় মেতে উঠেছে!

 এক বিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো আবারো নতুন করে চন্দ্র বিজয়ের নেশায় মেতে উঠেছে। যার ধারাবাহিকতায় চীনের নিজস্ব তৈরি ১৪০ কিলোগ্রাম ওজনের ইউতু-২ মুন রোভার ইতোমধ্যেই চাঁদের বুকে দীর্ঘ সময় কাজ করার সভিয়েত ইউনিয়নের করা পূর্বের বিশ্ব রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে। আসলে চাঁদের বুকে দীর্ঘ সময় কাজ করার বিশ্ব রেকর্ডটি আগে করেছিল কোল্ড ওয়ার যুগের সভিয়েত ইউনিয়নের লুনোখোড-২ মুন রোভারটি। মুলত সভিয়েত ইউনিয়নের ৭৫৬ কিলোগ্রাম ওজনের লুনোখোড-২ মুন রোভারটিকে ১৯৭০ সালের ১০ই নভেম্বর চাঁদের মাটিতে ল্যাণ্ড করানো হয়েছিল এবং দীর্ঘ ১০ মাস ৫ দিন মিশন পরিচালনা করে ১৯৭১ সালে ১৪ই সেপ্টেম্বর এর মিশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এটি ১৮০ ওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করত। যা ছিল মানব ইতিহাসের এক বিরল রেকর্ড। 

আর বর্তমান সময়ে এসে চীনের তৈরি ইউতু-২ মুন রোভার সেই রেকর্ডকে ভেঙ্গে দিয়ে চলতি ২০১৯ সালের জানুয়ারি ৩ থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ মাস চাঁদের মাটিতে মিশন পরিচালনা করে এক নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করল। চীনের ইউতু-২ রোভারটি এ পর্যন্ত চাঁদের বুকে মাত্র ৩৪৫ মিটার এলাকা ভ্রমণ করেছে। যদিও এটি খুব অল্প দূরত্ব বলে মনে হচ্ছে, এবং যা কিনা একজন মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে এ দুরুত্ব অতিক্রম করতে পারে। তবে সৌরশক্তি চালিত কোন মুন রোভারের পক্ষে চাঁদের বুকে এ কাজটি করা খুবই জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। এখনে প্রকাশ থাকে যে, চাঁদে প্রতি মাসে ১৪ দিন একাধারে রাত এবং ১৪ দিন একাধারে দিন থাকে। তাই সৌরশক্তি চালিত মুন রোভারকে একাধারে দুই সপ্তাহ বা ১৪ দিন রাতের সময় ঘুমিয়ে থাকতে হয় এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহ বা ১৪ দিন সূর্যের আলোতে চাঁদের মাটিতে কাজ করার সুযোগ পায়। আর চলিত ২০১৯ সালে ভারত এবং ইসরাইল চাঁদের বুকে ল্যাণ্ডার নামানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হলেও তাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং দক্ষতাকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ থাকতে পারে বলে মনে হয় না। তাছাড়া অদূর ভবিষ্যতে ২০৫০ সালের মধ্যেই চাঁদের বুকে মানব কলোনী স্থাপন এবং নতুন এক প্রযুক্তির যুগের সূচনা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Comments

Popular posts from this blog

এক লিজেন্ডারী যুদ্ধবিমান এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেটঃ

ভারত ও চীনের সীমান্ত উত্তেজনা...

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার দ্রুত বাস্তবায়ন আর কত দূরে ?