Posts

Showing posts from 2019

এক বিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো আবারো নতুন করে চন্দ্র বিজয়ের নেশায় মেতে উঠেছে!

Image
  এক বিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো আবারো নতুন করে চন্দ্র বিজয়ের নেশায় মেতে উঠেছে। যার ধারাবাহিকতায় চীনের নিজস্ব তৈরি ১৪০ কিলোগ্রাম ওজনের ইউতু-২ মুন রোভার ইতোমধ্যেই চাঁদের বুকে দীর্ঘ সময় কাজ করার সভিয়েত ইউনিয়নের করা পূর্বের বিশ্ব রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে। আসলে চাঁদের বুকে দীর্ঘ সময় কাজ করার বিশ্ব রেকর্ডটি আগে করেছিল কোল্ড ওয়ার যুগের সভিয়েত ইউনিয়নের লুনোখোড-২ মুন রোভারটি। মুলত সভিয়েত ইউনিয়নের ৭৫৬ কিলোগ্রাম ওজনের লুনোখোড-২ মুন রোভারটিকে ১৯৭০ সালের ১০ই নভেম্বর চাঁদের  মাটিতে ল্যাণ্ড করানো হয়েছিল এবং দীর্ঘ ১০ মাস ৫ দিন মিশন পরিচালনা করে ১৯৭১ সালে ১৪ই সেপ্টেম্বর এর মিশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এটি ১৮০ ওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করত। যা ছিল মানব ইতিহাসের এক বিরল রেকর্ড।  আর বর্তমান সময়ে এসে চীনের তৈরি ইউতু-২ মুন রোভার সেই রেকর্ডকে ভেঙ্গে দিয়ে চলতি ২০১৯ সালের জানুয়ারি ৩ থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ মাস চাঁদের মাটিতে মিশন পরিচালনা করে এক নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করল। চীনের ইউতু-২ রোভারটি এ পর্যন্ত চাঁদের বুকে মাত্র ৩৪৫ মিটার এলাকা ভ্রমণ করেছে। যদিও এটি খুব অল্প দূরত্ব বলে মনে হ

চলমান বৈশ্বিক অর্থনীতির মহামন্দার কবলে বিপর্যস্ত চীন ও ভারতের অর্থনীতিঃ

Image
চলমান বৈশ্বিক অর্থনীতির মহামন্দার কবলে বিপর্যস্ত চীন ও ভারতের অর্থনীতিঃ ২০১৯ সালের একেবারে প্রথম দিক থেকেই ভারতের ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি ডিসেম্বরে এসে তার পরিমাণ সর্বকালের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে। এ মুহুর্তে ভারতের ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ ডিসেম্বরের শেষের দিকে এসে ১.৭০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে তা মোট ৪৫৪.৪৯ বিলিয়ন ডলারে পৌছে গেছে। যা বৈশ্বিক অর্থনীতির মহামন্দা চলাকালীন অবস্থায় ভারতের সমষ্টিক অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভারতের এই বিপুল পরিমাণে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি এ রিজার্ভ নতুন শিল্প এবং কল-কারখানা স্থাপন ও সম্প্রসারণে বিনিয়োগের মাধম্যে নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি এবং তার পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধির উপায় নির্ধারণের উপর নির্ভর করবে দেশের ইতিবাচক এবং স্থিতশীল অর্থনৈতিক পরিবেশ। আসলে উন্নয়নশীল এবং রপ্তানি নির্ভর অর্থনৈতির দেশে হঠাত করে আমদানি কমে গেলে এবং নতুন করে শিল্প উন্নয়ন এবং স্থাপনের হার হ্রাস পেলে সেক্ষেত্রে সাময়িকভাবে ফরেন কারেন্সির পরিমাণ ও মজুত বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিমাণে রেম

চীনের নতুন প্রজন্মের জে এল-৩ সাবমেরিন বেসড ব্যালেস্টিক মিসাইল!

Image
The Chinese PLA Naval Forces has already been tested three times a submarine based and nuclear warhead capable of Julang-3 (JL-3) Intercontinental Ballistic Missile (ICBM) capable of reaching anywhere in the United States. When the latest Chinese JL-3 submarine based ICBM were launched on Sunday, 22 December, 2019 from the side of a Jin class nuclear powered submarine located in Bohai Bay in the northwestern part of the Yellow Sea. The test launch of the JL-3 ICBM was carried  out from underwater position. The PLA Naval Forces had been tasted the promising ICBM JL-3 and then it might be the third. The first launch was made on November 22, 2018 and the second on June 2, 2019. It is known that the JL-3 solid-fuel rocket is intended to equip the next-generation nuclear powered submarines of PLA Naval Forces. The range of the missile is declared up to 9,000 to 11,900 of kilometers. The JL-3 ICBM missile can carry a single 250-1,000 Kiloton nuke warhead or low-yield ten Multiple Independe

রেহিঙ্গা মানবিক সংকটের আড়ালে বৈশ্বিক ক্ষমতাধর দেশগুলর অশুভ প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা!

Image
রেহিঙ্গা মানবিক সংকটের আড়ালে বৈশ্বিক ক্ষমতাধর দেশগুলর অশুভ প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা!  সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া বলেছে, “রেহিঙ্গা নিধন এবং বিতারণ ইস্যুতে সকল সমস্যা বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে”। অথচ রেহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা কিন্তু বাংলাদেশের কোন নাগরিক নয় এবং এ সমস্যার শতভাগ মিয়ানমারের তরফে সৃষ্টি। তাই রেহিঙ্গা নিধন সমস্যা এখন অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই সমাধান করতে হবে। তাই রাশিয়ার এহেন হাস্যকর এবং অবিবেচক উক্তি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। যেখানে রাশিয়া এবং চীন নিজেরাই কিনা মিয়ানমারের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী এবং মদদদাতা। এদিকে মিয়ানমার বৈশ্বিক পর্যায়ে এক রকম অং সাং সূচী সরকার ও তাদের সেনবাহিনীর মদদেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার এবং গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আর বৈশ্বিক পর্যায়ে মিয়ানমারকে এহেন অপকর্মে চূড়ান্তভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে আমাদের বন্ধু দেশ রাশিয়া, চীন এবং ভারত। এমনকী তারা মিয়ানমারকে নির্বিচারে প্রাণঘাতী যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সাজ সরঞ্জাম সরবরাহ করে সারা দেশজুড়ে ক্ষুদ্র জাতি নৃ-গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ড, নিপীড়ন এবং উচ্ছেদে যুগের পর যু

বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের এক প্রভাব বিস্তারকারী অসম সভিয়েত-আফগান যুদ্ধ নিয়ে একটি কৌশলগত বিশ্লেষণঃ

Image
বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে সংঘটিত অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী ও ভয়ঙ্কর রক্তক্ষয়ী একটি দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ হচ্ছে আফগান সোভিয়েত অসম যুদ্ধ। যুদ্ধটি সরাসরি কোন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত না হলেও বাস্তবিক অর্থেই এটি ছিল অত্যন্ত প্রাণঘাতী এবং মানবিক বিপর্যয়কর একটি যুদ্ধ । আর আফগান সোভিয়েত যুদ্ধকে এ জন্য অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী যুদ্ধ বলা হয়, কারণ এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তির মাধ্যমে সারা বিশ্বে চলমান চার দশক ব্যাপী অত্যন্ত ভীতিজনক কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ু যুদ্ধের চীর অবসান ঘটে। তাছাড়া এই যুদ্ধে তৎকালীন সভিয়েত কমিউনিস্ট সরকার ও তার লাল ফৌজ কিন্তু মার্কিন মদদে গঠিত একটি স্বল্প প্রশিক্ষিত আফগান গেরিলা বাহিনীর কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিয় বরণ করে নেয়। আসলে তৎকালীন সভিয়েত ইউনিয়ন সরকার তার সমর্থিত ও মদদপুষ্ট আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ সরকারকে কৌশলগত কারণে সামরিক সহায়তা এবং সারা দেশব্যাপী চলমান গৃহযুদ্ধে মুজাহিদীন গেরিলা সঽগঠনের আক্রমন থেকে রক্ষা করার নামে কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে হঠাৎ করেই সভিয়েত লাল ফৌজের হাজার হাজার সেনা , বিপুল পরিমাণ ট্যাংক ও আর্টিলারী এবং অন্য

বন্ধ হোক ভারত-পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনা ও ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতিঃ

ভাররের কাশ্মীরে পুলওয়ামারে বিপুল সংখ্যক সেনা হত্যা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম মাত্রায় সামরিক সংঘর্ষ এবং সীমান্ত উত্তেজনা বিরাজ করায়কে সাম্প্রতিক সময়ে আবারো সমগ্র ভারতীয় উপমহাদশ এক রকম দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধের ঝুঁকীর মুখে পড়তে যাচ্ছে। মুলত পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষ সারা এ মুহুর্তে সারা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক হলেও বিশ্বের বেশ কিছু দেশ এটাকে তাদের জন্য বড় ধরণের অস্ত্র ব্যবসার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। বিশেষ করে বিশ্বের প্রধান সামরিক সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলামান যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও কিম্বা লাইন অব কন্ট্রলে শান্তির কথা বার বার মুখে বললেও বাস্তবে দেশগুলো কিন্তু বেজায় খুশিই বলা চলে। তারা ভারত পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত গোপনে যে যার মতো করে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বানিজ্য চালিয়ে যেতে এক রকম বদ্ধপরিকর বলে মনে করা হয়। আর এতে কিন্তু কোন ধরণের সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। আর এ সামরিক উত্তেজনা বা যুদ্ধকে কে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সুইজারল্যাণ্ডের দ্বিমুখী নিরপেক্ষ যুদ্ধ নীতিঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইউরোপের একটি দেশ ভয়ঙ্কর দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে নিরপেক্ষতার মুখোশ পড়ে থাকে। দেশটি আর কেউ নয়, সেটি হলো সুইজারল্যাণ্ড। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। সুইজারল্যান্ড কার্যত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পুরোটা সময় ধরে অক্ষশক্তি এবং মিত্র পক্ষের দেশগুলোর ধনী সামরিক এবং বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের অর্থ ও সম্পদ জমা রাখার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠে। জার্মানীর হিটলারের নাৎসী বাহিনীর শত শত জেনারেল এবং সামরিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ ব্যক্তিবর্গ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থ একাধিক সুইস ব্যাংকে জমা রাখতে থাকে। পাশাপাশি ফ্রান্স, ব্রিটেন, পোলিশ, অস্ট্রিয়া ছাড়াও অন্য দেশের ধনী সামরিক এবং বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ একই পথ অবলম্বন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে শুরু করে। আর এসব অর্থের বেশিরভাগই ছিল কিন্তু অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ বা কালো টাকা। তাছাড়া যুদ্ধের কারণে নিজ দেশে অর্থ রাখাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় মিত্রশক্তি এবং অক্ষশক্তি জোটভুক্ত দেশের বিত্তশালী নাগরিকরা এক রকম নির্বিচারেই যুদ্ধমুক্ত

ভারত ও পাকিস্তানের ভয়াবহ পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগীতা এবং দক্ষিণ এশিয়ার অনিশ্চিত ভবিষ্যতঃ

Image
ভারত ও পাকিস্তানের ভয়াবহ পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগীতা এবং দক্ষিণ এশিয়ার অনিশ্চিত ভবিষ্যতঃ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দুই চীর বৈরি প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীরে সংঘর্ষ প্রবণ সীমান্ত লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) দিয়ে নিয়মিত বিচ্ছিন্নতাবাদী র অনুপ্রবেশ এবং একাধিক স্পর্শকাতর ইস্যুতে ব্যাপক মতানৈক্য ও সারা বছর ব্যাপী ভয়ঙ্কর মাত্রায় সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে পুলওয়ামারে স্বাধিনতাকামী ও ভারতীয় সেনার ব্যাপক সংঘর্ষে দফায় দফায় প্রায় ৬০ জন সেনা বা জাওয়ানের করুন মৃত্যুতে দেশ দুটির মধ্যকার স্পর্শকাতর দূর্বল সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে । এ মুহুর্তে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে সীমা ন্তে হামলা ও পালটা হামলা অব্যহত রেখেছে এবং দেশ দুটি নজিরবিহীনভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বিমান হামলা ও পালটা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাছা ড়া দেশ দুটির সামরিক বাহিনীর একটি বৃহৎ অংশ সার্বক্ষণিকভাবেই সুদীর্ঘ লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর মোতায়েন রাখে এবং তারা উভয়েই এক রকম নীরবেই নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী ভয়াবহ রকমের পূর্ণাঙ