Posts

Showing posts from 2025

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাপানো পবিত্র কুরআন মাজীদ!

Image
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাপানো পবিত্র কুরআন মাজীদ সৌদি আরবের মক্কার “The Holy Qur’an Museum” বা কুরআন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে। এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে “The World’s Largest Printed Qur’an” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং এটি ইতোমধ্যেই গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই বিশাল আকারের অমূল্য কুরআন মাজীদ খোলা অবস্থায় মাপ দাঁড়ায় ২.৩০ মিটার × ৩.২৮ মিটার × ০.৩১ মিটার এবং এর ওজন হতে পারে প্রায় ১.৫ টন (আনুমানিক)। আসলে এটি কোনো সাধারণভাবে ছাপানো পবিত্র কোরআনের কপি নয়, বরং এটি একটি নিখুঁত ও দৃষ্টিনন্দন করে ছাপানো পবিত্র কোরআনের একটি কপি। যেখানে আরবি ক্যালিগ্রাফি, অলংকরণ এবং পৃষ্ঠার বিন্যাস অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা হয়েছে। দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এমশাহেদ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ’ (Mshahed International Group) এর নকশায় এটি তৈরি করা হয় এবং এর ছাপার কাজ সম্পন্ন হয় জার্মানিতে। ২০১২ সালের জুলাই মাসে (রমজান মাসে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে প্রথমবারের মতো এই পবিত্র কুরআন মাজীদ উন্মোচন করা হয়। পরবর্তীতে এটিকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় স্থানান্তর করা হয়। ২০১৫ সালে H...

The Challenges of Education and Technology in the Muslim World!

Image
Education is the foundation of any nation. It is vital for progress and sustainable development. A country may have wealth or resources, but without investment in education, research, and technology, it cannot achieve meaningful growth in today’s competitive world. This issue is particularly urgent for many Muslim-majority countries. Despite a population of nearly 1.9 billion, vast territories, and rich natural resources, these nations continue to fall behind in science and technology. Approximately 1.1 billion Muslims live in Asia, 440 million in Africa, 50 million in Europe, and between 4 and 7 million in the Americas. Despite this significant population, the levels of higher education, research, and innovation remain disappointingly low. A stark comparison can be made with Israel. With a population of around 10 million, the country supports over 45,000 scientists and researchers who contribute to advancements in scientific and technological fields. In contrast, the entire Arab world...

আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য জেএল-১ ব্যালেস্টিক মিসাইল (ALBM) প্রদর্শন করে চীন!

Image
গত ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিং এ অনুষ্ঠিত ‘বিজয় দিবস’ কুচকাওয়াজে চীন তাদের এক নতুন কৌশলগত জেএল-১ এয়ার লঞ্চড বেসড ব্যালেস্টিক মিসাইল (ALBM) প্রদর্শন করে। মূলত চীনের এইচ-৬এন হেভি বোম্বার এয়ারক্রাফট থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ম্যাক ৫ বা তার অধিক গতি সম্পন্ন এই ব্যালিস্টিক মিসাইলটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। আসলে এয়ার লঞ্চড জেএল-১ (Jinglei-1) ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইলটিকে চীনের বিমান বাহিনীর এইচ-৬এন কৌশলগত বোমারু বিমানে ব্যবহারের উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে এবং এর ম্যাক্সিমাম রেঞ্জ হতে পারে আনুমানিক ৩,০০০-৪,০০০ কিলোমিটার। আকাশে জ্বালানি ভরার সুবিধার কারণে H-6N দীর্ঘসময় আকাশে থেকে শত্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, যা এর কার্যক্ষম রেঞ্জকে প্রায় ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। এটি চীনের ত্রিমাত্রিক পারমাণবিক (Nuclear Triad) এ্যাটাক ক্যাপাবিলিটিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। বিশেষ করে ভূমি ভিত্তিক আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল (ICBM), সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল (SLBM) সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি আকাশ পথে নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ক্যাপবল (ALBM) মিসাইল নিক্ষেপের যো...

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজ!

Image
ইয়াহু ফাইন্যান্স ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যমতে, গত ২০২৪ সালে গ্লোবাল শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ এর বাজারের আকার ছিল প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। যা চলতি ২০২৫ সাল শেষে এই শিল্পের বাজারের আকার প্রায় ৯.১ বিলিয়ন ডলার হতে পারে এবং তা থেকে বেড়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আনুমানিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা পূর্বাভাসের সময়কালে ৭.৪% সিএজিআর প্রদর্শন করবে। জাতিসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সংস্থা (আঙ্কটাড) এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে। তাছাড়া সারা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি পুরনো জাহাজ বাংলাদেশেই ভাঙ্গা বা রিসাইকল করা হয়ে থাকে। এই শিল্পে বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে মোট প্রায় ৫০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করছেন। তাছাড়া এই শিল্পের সাথে পরোক্ষভাবে আনুমানিক আরো কয়েক লক্ষ লোক নিয়োজিত রয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশসহ ভারত, চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক মিলে এই পাঁচটি দেশ বর্তমানে বৈশ্বিক জাহাজ ভাঙ্গা ও শীপ রিসাইকেলিং শিল্পের প্রায় ৭৫% দখল করে রয়েছে। গত ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী সারস বিশ্বের মোট জাহাজ ভাঙা শিল্পের ৫২.৪% বা ৮.০২ মিলিয়ন ...

প্রাণের খোঁজে শনির চাঁদ টাইটানে নাসার এক বৈপ্লবিক “ড্রাগনফ্লাই” স্পেস মিশন!

Image
সৌরজগতের বিস্ময়কর রিং বলয় ঘেরা শনিগ্রহ এবং তার বৃহত্তম চাঁদ “টাইটান” বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের কাছে একে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। বিশেষ করে "টাইটান" উপগ্রহ তার ঘন বায়ুমণ্ডল, তরল মিথেনে গঠিত নদী ও হ্রদ, বরফে ঢাকা পৃষ্ঠ এবং এর অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা সম্ভাব্য তরল জলের অস্তিত্বের জন্য বিজ্ঞানীদের কাছে বরাবরই গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। আমাদের সোলার সিস্টেমে “টাইটান” উপগ্রহে বিদ্যমান এসব অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের জন্য পৃথিবীর বাইরে এতে এলিয়েন লাইফ বা প্রাণের সম্ভাব্য আবাসস্থল হিসেবে বিবেচনা করেন বিজ্ঞানীরা। এবার এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে যাচাই করতে চায় NASA। এজন্য নাসা এক অতি উচ্চাভিলাষী এবং ব্যয়বহুল রোবটিক স্পেস মিশন পরিচালনা করতে যাচ্ছে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ড্রাগনফ্লাই’ (Dragonfly) স্পেস মিশন। নাসার এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘ড্রাগনফ্লাই’ (টাইটান স্পেস প্রোব) মিশন আগামী ২০২৮ সালের জুলাই মাসে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। প্রায় ৬ বছরের যাত্রা শেষে এট...

বিশ্বের প্রথম সফল বাণিজ্যিক পার্সোনাল কম্পিউটার

Image
বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কম্পিউটার প্রযুক্তিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বিশেষ করে ১৯৪৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয় ‘এনিয়াক’ (ENIAC) কম্পিউটার। যা ছিল বিশ্বের প্রথম সাধারণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যের ডিজাইনকৃত ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেম। যদিও ENIAC প্রোগ্রামেবল কম্পিউটার সিস্টেম ছিল, তবে এটি stored-program architecture ব্যবহার করত না। পাশাপাশি ENIAC কম্পিউটার আকারে ছিল অনেক বড় এবং এটি অপারেট করতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হতো এবং এটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী কোনো মাইক্রো পার্সোনাল কম্পিউটার ছিল না। আর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সীমাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষের জন্য ছোট আকারের ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের উপযোগী মাইক্রো পার্সোনাল কম্পিউটার বাজারে আসতে সময় লাগে আরও প্রায় তিন দশক। অবশেষে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকার Popular Electronics ম্যাগাজিনের কাভার পেজে প্রথমবার প্রকাশিত হয় Altair 8800 মডেলের মাইক্রো পার্সোনাল কম্পিউটারের ছবি ও বিবরণ। এর কিছুদিনের মধ্যেই এটি বাজারে চলে আসে। এই কম্পিউটারকে অনেকে ‘প্রথম মাইক্রো পার্সোনাল কম্পিউটার’ বলে থা...

নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার অটোনোমাস কার প্রযুক্তির উত্থান ও তার স্বপ্নভঙ্গ!

Image
আজ থেকে প্রায় ৩২ বছর আগে, ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হান মিন-হং ও তাঁর গবেষক দল কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় একটি ডেডিকেটেড অটোনোমাস ড্রাইভিং কার ডিজাইন ও তৈরি করেন, যা চালকের সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ব্যস্ত সড়কে নিরাপদে চলতে সক্ষম ছিল। পরীক্ষামূলক চালনায় এই স্বয়ংক্রিয় কার সিউল ও আশপাশের মহাসড়ক এবং জনাকীর্ণ রাস্তায় আনুমানিক ৩০০ কিলোমিটার পথ কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই অতিক্রম করে প্রযুক্তি মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। উচ্চ প্রযুক্তির এই অটোনোমাস গাড়িটিতে তৎকালীন সময়ে রাডার সেন্সর, ভিডিও ক্যামেরা-ভিত্তিক কম্পিউটার ভিশন সিস্টেম, সীমিত ক্ষমতার জিপিএস নেভিগেশন এবং অনবোর্ড মাইক্রোপ্রসেসর-ভিত্তিক ড্রাইভিং কন্ট্রোল ইউনিট ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সিস্টেম রোড লেন শনাক্তকরণ, আশপাশের গাড়ি ও প্রতিবন্ধক সনাক্তকরণ, স্বয়ংক্রিয় গতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক পর্যায়ের অবস্ট্যাকল অ্যাভয়ডেন্স সক্ষমতা প্রদান করত। তৎকালীন সময়ের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এটি ছিল অত্যন্ত উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি স্বয়ংক্রিয়চালিত গাড়ি। এই প্রকল্প নব্বইয়ের দশকে অটোনোমাস অটোমোবাইল প্রয...

রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট: আধুনিক প্রযুক্তির এক অপরিহার্য উপাদান!

Image
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য উপাদান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস (Rare Earth Elements) বা রেয়ার আর্থ মেটাল। এই উপাদানের নামের মধ্যে “রেয়ার বা বিরল” কথাটি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে এসব উপাদান তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে এই উপাদানগুলো প্রকৃতিতে খুব কম ঘনত্বে অন্য খনিজ বা মৌলের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। যার ফলে সেগুলো আহরণ, উত্তোলন ও পরিশোধন করা প্রযুক্তিগতভাবে যথেষ্ট জটিল এবং ব্যয়বহুল কাজ হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিকভাবে রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট বলতে পর্যায় সারণির ল্যান্থানাইড সিরিজের ১৫টি মৌল, এর সাথে স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম মিলিয়ে মোট ১৭টি মৌলকে বোঝানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ল্যান্থানাম, সেরিয়াম, প্রাসিওডিমিয়াম, নিওডিমিয়াম, প্রমেথিয়াম, সামারিয়াম, ইউরোপিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টার্বিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, হোলমিয়াম, ইরবিয়াম, থুলিয়াম, ইটারবিয়াম, লুটেশিয়াম, স্ক্যান্ডিয়াম এবং ইট্রিয়াম। বিরল মৃত্তিকা উপাদানের বিশেষ ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য, যেমন- চৌম্বকত্ব, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং...

নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার অটোনোমাস কার প্রযুক্তির উত্থান ও তার স্বপ্নভঙ্গ!

Image
আজ থেকে প্রায় ৩২ বছর আগে, ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হান মিন-হং ও তাঁর গবেষক দল কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় একটি ডেডিকেটেড অটোনোমাস ড্রাইভিং কার ডিজাইন ও তৈরি করেন, যা চালকের সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ব্যস্ত সড়কে নিরাপদে চলতে সক্ষম ছিল। পরীক্ষামূলক চালনায় এই স্বয়ংক্রিয় কার সিউল ও আশপাশের মহাসড়ক এবং জনাকীর্ণ রাস্তায় আনুমানিক ৩০০ কিলোমিটার পথ কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই অতিক্রম করে প্রযুক্তি মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। উচ্চ প্রযুক্তির এই অটোনোমাস গাড়িটিতে তৎকালীন সময়ে রাডার সেন্সর, ভিডিও ক্যামেরা-ভিত্তিক কম্পিউটার ভিশন সিস্টেম, সীমিত ক্ষমতার জিপিএস নেভিগেশন এবং অনবোর্ড মাইক্রোপ্রসেসর-ভিত্তিক ড্রাইভিং কন্ট্রোল ইউনিট ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সিস্টেম রোড লেন শনাক্তকরণ, আশপাশের গাড়ি ও প্রতিবন্ধক সনাক্তকরণ, স্বয়ংক্রিয় গতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাথমিক পর্যায়ের অবস্ট্যাকল অ্যাভয়ডেন্স সক্ষমতা প্রদান করত। তৎকালীন সময়ের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এটি ছিল অত্যন্ত উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি স্বয়ংক্রিয়চালিত গাড়ি। এই প্রকল্প নব্বইয়ের দশকে অটোনোমাস অটোমোব...

আধুনিক প্রযুক্তির এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে রেয়ার আর্থ মেটাল!

Image
লেখক: সিরাজুর রহমান প্রকৃতিতে প্রাপ্ত রেয়ার আর্থ মেটাল বা উপাদান হচ্ছে, এমন কিছু একাধিক খনিজ বা মৌল যা বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অবিচ্ছেদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই মৌলগুলোকে "rare" বা দুর্লভ বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এই উপাদানগুলো পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠে মোটামুটি পরিমাণে মজুত রয়েছে। তবে এগুলো সাধারণত একাধিক অন্য খনিজ বা মৌলের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় ছড়িয়ে থাকে। প্রকৃতিতে এটা বিশুদ্ধভাবে পাওয়া কঠিন হওয়ায় এর উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ অনেকটাই ব্যয়বহুল ও জটিল হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় রেয়ার আর্থ মেটাল বা বিরল মৃত্তিকা উপাদান বলতে মূলত পর্যায় সারণির ল্যান্থানাইড সিরিজভুক্ত ১৫টি মৌল এবং স্ক্যান্ডিয়াম (Scandium) ও ইট্রিয়াম (Yttrium) নামের অতিরিক্ত ২টি মৌলকে বোঝায়। অর্থাৎ প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মোট ১৭টি মৌলকে একত্রে রেয়ার আর্থ ম্যাটারিয়াল বা এলিমেন্টস বলা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে ল্যান্থানাম (Lanthanum), সেরিয়াম (Cerium), প্রাসিওডিমিয়াম (Praseodymium), নিওডিমিয়াম (Neodymium), প্রমেথিয়াম (Promethium), সামারিয়াম (Samarium), ইউরোপিয়াম (Europium...

রাশিয়ার লং রেঞ্জের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের চালান গ্রহণ করেছে ইরান!

Image
ইরান সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু সংখ্যক ইউনিট লং রেঞ্জের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের চালান গ্রহণ করেছে। প্রাথমিকভাবে ইরানের সামরিক বাহিনী এই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ইসফাহানে মোতায়েন করেছে এবং খুব সম্ভবত গত ২৬ জুলাই এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য কয়েকটি সফল পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। ইসফাহানের নিউক্লিয়ার ফ্যাসালিটির কাছে বা আশেপাশের সামরিক ঘাঁটিতে পরিচালিত এই লাইভ-ফায়ার মহড়ার মাধ্যমে ইরান মূলত ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং উপসাগরীয় মিত্রদের সম্ভাব্য আকাশ হামলার বিরুদ্ধে একটি শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বার্তা দিতে চায়। যদিও এখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম সারির মিডিয়াতে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ হয়নি। তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে, রাশিয়ার এই এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি ইরান সরাসরি ক্রয় করেছে, নাকি রাশিয়ার সামরিক বাহিনী (বিশেষ করে এয়ার ফোর্স) অপারেশনাল সক্ষমতা বিশ্বের সামনে প্রকাশ কিংবা পর্যালোচনার অংশ হিসেবে ইরানে এটি মোতায়েন করেছে। যাই হোক, এই নতুন পদক্ষেপ ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে সহায়তা করবে বলেই ধ...

মাত্র এক ইউরো প্রতীকী মূল্যে ১৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রোমানিয়াকে উপহার দিল নেদারল্যান্ডস!

Image
লেখক: সিরাজুর রহমান সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ন্যাটো জোটের প্রশিক্ষণ কৌশলের অংশ হিসেবে নেদারল্যান্ডস প্রতীকী এক ইউরো মূল্যে রোমানিয়ার কাছে ১৮টি পুরনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করেছে। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পাইলটদের যুদ্ধবিমান পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রোমানিয়া প্রায় ৩৫টি পুরনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছে, যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই যুদ্ধবিমানগুলো রোমানিয়ায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক ফাইটার ট্রেনিং সেন্টারে ব্যবহৃত হবে। এখানেই ইউক্রেনসহ অন্যান্য মিত্র দেশের পাইলটদের যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিমানগুলোর আধুনিকায়ন ও অস্ত্রসজ্জার ব্যয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা তহবিল থেকে নির্বাহ করা হয়। এদিকে ইউক্রেনের প্রায় পাইলট ও টেকনিক্যাল ক্রু ইতোমধ্যেই রোমানিয়ায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আকাশযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। এই এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলোতে প্রয়োজনীয় মিসাইল ও অস্ত্র সরবরাহ করছে য...

চীন কিভাবে তার বিদ্যুৎ শক্তিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ারে পরিণত করল?

Image
("বিদ্যুৎ শক্তিই আধুনিক বিশ্বের নতুন ‘শক্তি’ হয়ে উঠেছে") বর্তমান বিশ্বে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে—একটি দেশের জনসংখ্যা যত বেশি, তার বিদ্যুৎ চাহিদাও তত বেশি হবে। তবে বিষয়টি আংশিক সঠিক হলেও বাস্তবতা অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন হয়ে থাকে। আধুনিক অর্থনীতিতে বিদ্যুৎ চাহিদা নির্ধারণে জনসংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে একটি দেশের শিল্প উৎপাদন কাঠামো এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। যা মূলত নির্ভর করে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনার উপর। বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, চীন বর্তমানে এমন একটি আধুনিক এবং সুসংগঠিত উৎপাদননির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলেছে, যেখানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৭০% শিল্প খাতে ব্যবহৃত হয়। বাকি অংশের মধ্যে গৃহস্থালি খাতে প্রায় ১৪% এবং সেবা খাতে ১৬% ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, একবিংশ শতাব্দির আধুনিক যুগে জনসংখ্যা নয়, বরং শিল্পায়নই হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রধান নিয়ামক। বিগত চার দশকে চীনের বিদ্যুৎ উৎপাদন, ব্যবহার ও চাহিদার বৃদ্ধি কেবল জনসংখ্যার কারণে নয়, বরং এটি ঘটেছে এক বিশাল শিল্পব্...

দিল্লিতে বায়ুদূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের উদ্যোগ!

Image
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত (Cloud Seeding) ঘটানোর লক্ষ্যে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় ২০২৫ সালের ৪ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রথম পর্যায়ে দিল্লির আকাশে ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে আকাশে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে। ভারতের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো যে, বাতাসে ভাসমান অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা যেমন PM2.5 এবং PM10 সহ অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে ধুয়ে ফেলে বাতাসকে পরিশোধন করা। দিল্লির এই উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে আইআইটি কানপুর এবং ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD)। ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত প্রযুক্তি আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের একটি আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিমান বা ড্রোনের মাধ্যমে মেঘের মধ্যে সিলভার আয়োডাইডের মতো রাসায়নিক উপাদান ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই উপাদান মেঘে উপস্থিত জলকণাগুলোর ঘনীভবন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে মেঘ ভারী হয়ে বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ...

ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তায় মোবাইল নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের বিপ্লব!

Image
বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, যুদ্ধসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষাপটে নিরাপদ, স্বল্প ব্যয়, পরিবহনযোগ্য ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্ষুদ্র আকারের ভ্রাম্যমাণ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট প্রযুক্তি, অর্থাৎ মোবাইল মাইক্রো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর (MMNR) প্রযুক্তি উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিবিদরা উদ্ভাবন করেছেন মোবাইল মাইক্রো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর (Mobile Micro Nuclear Reactor – MMNR) প্রযুক্তি। এটি এমন একটি ভবিষ্যতনির্ভর শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা, যা যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হয়। যদিও এই প্রযুক্তি এখনো পর্যন্ত গবেষণা ও উন্নয়নের প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। মোবাইল মাইক্রো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর টেকনোলজি হলো একটি ক্ষুদ্রাকৃতির, পরিবহনযোগ্য ও স্বয়ংসম্পূর্ণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা। এই ধরনের রিঅ্যাক্টর সাধারণত প্রায় ১ থেকে ২০...

USS Kitty Hawk (CV-63) is the Pride of the United States Navy’s Conventional Supercarriers!

Image
In the 1980s, USS Kitty Hawk (CV-63) stood as the last conventionally powered supercarrier actively operated by the United States Navy. Commissioned on April 29, 1961, it served actively in multiple combat missions for nearly 48 years. Built by the New York Shipbuilding Corporation, this massive vessel was powered by steam turbines, making it a formidable conventional supercarrier. During the Cold War era, it was recognized as the largest and most imposing naval vessel in the world. Equipped with eight boilers and four turbine engines, Kitty Hawk generated a combined power output of approximately 280,000 shaft horsepower. It could reach a top speed of 32.5 knots and had a fully loaded displacement exceeding 80,000 tons, while its standard displacement was around 63,000 tons. Measuring 325.8 meters in length, with a beam of 86 meters and a draft of 12 meters, USS Kitty Hawk was capable of carrying up to 90 aircraft, including fighter jets, helicopters, and drones. Throu...