ভারতের সামরিক ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে গভীর বঙ্গোপসাগরে সাবমেরিন ভিত্তিক আন্ডার-সি বেসড মধ্যম পাল্লার কে-৪ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। মুলত পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য কে-৪ মধ্যম পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোট ২০০০ কিলোগ্রাম ওজনের ৪টি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করে ৩৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে যে কোন লক্ষবস্তুতে নিখুঁত ভাবে আঘাত করতে সক্ষম।

মুলত ভারতের ডিআরডিও ইতোমধ্যেই অত্যন্ত গোপনে কে-৪ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পরীক্ষামূলক একাধিক উৎক্ষেপন সম্পন্ন করেছে। আসলে ইতিপূর্বে ডিআরডিও প্রাথমিক ভাবে কে-৪ মধ্যম পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ ৩০০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করে এবং এখন এর সক্ষমতা ও ব্যাপক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়ে গভীর সমুদ্রে সর্বোচ্চ ৩৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে নিদিষ্ট লক্ষবস্তুতে নিখুঁত ভাবে আঘাত হানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডিআরডিও সামরিক বিশেষজ্ঞেরা।

প্রকৃতপক্ষে ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিন ভিত্তিক গভীর সমুদ্র থেকে নিক্ষেপযোগ্য যে সব মিসাইল ভারতের হাতে রয়েছে, তার মধ্যে কে-৪ সবচেয়ে শক্তিশালী এবং মারাত্মক ধ্বংস ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইআরবিএম)। এছাড়া ১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৭ টন ওজনের কে-৪ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ২০০০ কিলোগ্রাম ওজনের ৪টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। ভারতের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত এবং কডমট এর জন্য বিশেষ ডিজাইন করে ডিআরডিও কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে যাতে সমুদ্রের গভীর থেকে আচমকা বাইরে এসে লক্ষ্যের দিকে ছুটে যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র। আবার কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ হাইপারসনিক। অর্থাৎ শব্দের বেগের চেয়ে এর বেগ বেশ কয়েক গুণ বেশি। ফলে রাডারের পক্ষে এই কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র কে সনাক্ত করা এক রকম অসম্ভব। অবশ্য শেষ মুহূর্তে রাডারে সনাক্ত করা সম্ভব হলেও এর আঘাত থেকে নিদিষ্ট লক্ষবস্তুতুর বা শত্রুর রক্ষা পাওয়া বেশ কঠিন বলে মত প্রকাশ করেন ভারতীয় সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

Sherazur Rahman

Comments

Popular posts from this blog

এক লিজেন্ডারী যুদ্ধবিমান এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেটঃ

ভারত ও চীনের সীমান্ত উত্তেজনা...

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার দ্রুত বাস্তবায়ন আর কত দূরে ?