ভারত পাকিস্তানের অস্ত্র প্রতিযোগিতা
বৃটিশ সম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী ৬ দশকে ভারত ও পাকিস্তান
তিনবার ভয়াবহ রকমের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি এক রকম সারা বছরব্যাপী
সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালের শেষের দিকে কাশ্মীরের
উরীতে সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও
পাকিস্তানের মধ্যে অবিরাম সীমান্ত সংঘর্ষ চলছেই এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়
ভারত ও পাকিস্তান ব্যাপক সামরিক সমাবেশ ও এক রকম ব্যাপক নীরব যুদ্ধ
প্রস্তুতি চলছে, যা নিশ্চিত ভাবে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি,
সহবস্থান ও স্থিতিশীলতার চরম হুমকী হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এক্ষেত্রে
বৈশ্বিক সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর ভূমিকা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।
.
এখানে প্রকাশ থাকে যে, ভারত ও পাকিস্থান প্রায় দুই দশক আগেই পারমানবিক প্রযুক্তি অর্জন করে। এছাড়া এ দুটি দেশ পারমানবিক অস্ত্র ও দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র উন্নয়ন ও গবেষণায় ব্যাপক অর্থ ব্যয় করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড এবং বিভিন্ন পাল্লার স্ট্র্যাটিজিক্যাল ও ট্যাক্টিক্যাল মিসাইল সিস্টেম পরীক্ষা ও সর্বোচ্চ ভাবে মজুত করে যাচ্ছে, যা নিশ্চিত ভাবে ভবিষ্যতে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশকে ভয়াবহ রকমের নিউক্লিয়ার ও থার্মো নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।
.
স্টকহোম ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পীস রিসার্চ ইনিস্টিটিউট ও অন্যান্য আন্তজার্তিক সামরিক গবেষণার তথ্যমতে পাকিস্তানের কাছে ১১০-১৩০টি এবং ভারতের কাছে ৯০-১১০টি পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে। তবে বাস্তবে এ দুটি দেশের কাছে আরো বেশি সংখ্যক বা তিন চার গুন বেশি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড থাকার সমুহ সম্ভবনা রয়েছে, যদিও বিষয়টি নিশ্চিত নয়। আবার এশিয়ার আরেক বৃহত সামরিক পরাশক্তি চীন নিশ্চিত ভাবেই ত্যন্ত গোপনেই বিশাল ২৫০++ পারমানবিক অস্ত্র ও দীর্ঘ পাল্লার স্ট্র্যাটিজিক্যাল ক্ষেপনাস্ত্রের বিশাল মজুত গড়ে তুলতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যাচ্ছে। তবে যা হোক আজকের লেখায় আমি চীনের বিষয়টি তুলে ধরব না।
.
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ যোগ্য শাহিন-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। মুলত পাকিস্তানের তৈরি শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র সর্বোচ্চ ২,৭৫০ কিলোমিটার দূরুত্বের যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ভাবে পারমাণবিক ও প্রচলিত ওভারহেড আঘাত হানতে সক্ষম। যদিও শাহিন-৩ মধ্যম পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোটন ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেটের ৩৫০ মিটারের মধ্যে হামলা করতে সক্ষম। এছাড়া ১৫০০ কিলোমিটার পাল্লার শাহীন-২ এবং ৯০০ কিলোমিটার পাল্লার শাহীন-১ ক্ষেপনাস্ত্র মজুত আছে। এছাড়া পাকিস্তানের আজানা সংখ্যক ৬০ কিলোমিটার পাল্লার ট্যাকটিক্যাল সর্ট রেঞ্জ নসর ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়েন করেছে, যা পাকিস্তানের দৃষ্টিতে এটি একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।
.
আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পাকিস্তানের মিডিয়াম ২৭৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের শাহিন-৩ মিসাইলের আওতায় চলে আসছে ভারতের অধিকাংশ শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। মুলত মাঝারি পাল্লার এই শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র ভারতের জন্য নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ হতে দাঁড়াতে পারে। কারন পাকিস্তান অনেক আগে থেকেই এক রকম হুমকি দিয়ে আসছে ভারত পাকিস্তানে আক্রমন করলে তারা পরমানু অস্ত্র ব্যবহারে কোন রকম দ্বিধা করবে না। যেহেতু শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র এখন ভারতের প্রায় সব শহরে আঘাত হানতে সক্ষম বলে মনে করা হয়। তাই এক্ষেত্রে পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমনের ক্ষেত্রে ভারত নিশ্চিত ভাবেই অনেকটা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
.
তবে আর যাই হোক, পাকিস্তান অপেক্ষা ভারতের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু বেশ শক্তিশালী এবং আধুনিক। তাছাড়া ভারত ইতোমধ্যেই প্রায় ৬.২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে রাশিয়া থেকে ৫ রেজিমেন্ট এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন করেছে। যা চুক্তি মোতাবেক আগামী ২০২০ সালের মধ্যেই রাশিয়া ভারতকে সরবরাহ করবে। আবার ভারতের কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড সমৃদ্ধ ৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৪ অনেক আগে থেকেই মজুত আছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভারত তার কৌশলগত উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন প্রজন্মের ৫৫০০-৮০০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৫ ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে, যা আগামী দু এক বছরের মধ্যেই ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। আসলে স্ট্র্যাটিজিক্যাল অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রে একসাথে তিনটি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম এবং তা সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোটনের পারমানবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। এতে করে অগ্নি-৫ এর রেঞ্জের মধ্য চলে এসেছে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ এলাকাসহ চীনের একটি বিরাট অংশ। আবার ভারত পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর অজানা সংখ্যক সুপারসনিক গতির ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার বারমোস শর্ট রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করে রেখেছে। তার ফলে পাকিস্তানের পক্ষে যে কোন অবস্থায় ভারতে উপর পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা নিজের জন্য একটি আত্মঘাতী কাজ হবে এবং হয়তো বা খুব সহজেই নিউক্লিয়ার এট্যাক করা সম্ভব নাও হতে পারে। এছাড়া ভারত অত্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক তাদের নিজস্ব নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ভিত্তিক “সেকেন্ড ইন নিউক্লিয়ার এট্যাক ক্যাপাবিলিটি” ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিলিয়ন ডলার খরচ করে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রচলিত যুদ্ধের সক্ষমতায় ভারত খুব দ্রুত বিশ্বের বৃহৎ সামরিক পরশক্তির সমপর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ভারতের নিজস্ব অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম হিসেবে AAD (অ্যাডভান্স এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) ও PAD (পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সারা দেশব্যাপী গড়ে তুলছে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে ভারত ভবিষ্যতে পাকিস্তানের যে কোন ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমনের ৮০% পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবেই আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এদিকে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই বা তিন রেজিমেন্ট চীন থেকে মিডিয়াম রেঞ্জের এইচকিউ-১৬এ বা এইচকিউ-৯ সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম সংগ্রহ করেছে বলে জানা যায়।
.
সিরাজুর রহমান (Sherazur Rahman), সহকারী শিক্ষক, ছোট চৌগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংড়া, নাটোর, বাংলাদেশ। sherazbd@gmail.com
.
এখানে প্রকাশ থাকে যে, ভারত ও পাকিস্থান প্রায় দুই দশক আগেই পারমানবিক প্রযুক্তি অর্জন করে। এছাড়া এ দুটি দেশ পারমানবিক অস্ত্র ও দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র উন্নয়ন ও গবেষণায় ব্যাপক অর্থ ব্যয় করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড এবং বিভিন্ন পাল্লার স্ট্র্যাটিজিক্যাল ও ট্যাক্টিক্যাল মিসাইল সিস্টেম পরীক্ষা ও সর্বোচ্চ ভাবে মজুত করে যাচ্ছে, যা নিশ্চিত ভাবে ভবিষ্যতে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশকে ভয়াবহ রকমের নিউক্লিয়ার ও থার্মো নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।
.
স্টকহোম ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পীস রিসার্চ ইনিস্টিটিউট ও অন্যান্য আন্তজার্তিক সামরিক গবেষণার তথ্যমতে পাকিস্তানের কাছে ১১০-১৩০টি এবং ভারতের কাছে ৯০-১১০টি পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে। তবে বাস্তবে এ দুটি দেশের কাছে আরো বেশি সংখ্যক বা তিন চার গুন বেশি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড থাকার সমুহ সম্ভবনা রয়েছে, যদিও বিষয়টি নিশ্চিত নয়। আবার এশিয়ার আরেক বৃহত সামরিক পরাশক্তি চীন নিশ্চিত ভাবেই ত্যন্ত গোপনেই বিশাল ২৫০++ পারমানবিক অস্ত্র ও দীর্ঘ পাল্লার স্ট্র্যাটিজিক্যাল ক্ষেপনাস্ত্রের বিশাল মজুত গড়ে তুলতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যাচ্ছে। তবে যা হোক আজকের লেখায় আমি চীনের বিষয়টি তুলে ধরব না।
.
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ যোগ্য শাহিন-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। মুলত পাকিস্তানের তৈরি শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র সর্বোচ্চ ২,৭৫০ কিলোমিটার দূরুত্বের যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ভাবে পারমাণবিক ও প্রচলিত ওভারহেড আঘাত হানতে সক্ষম। যদিও শাহিন-৩ মধ্যম পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোটন ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেটের ৩৫০ মিটারের মধ্যে হামলা করতে সক্ষম। এছাড়া ১৫০০ কিলোমিটার পাল্লার শাহীন-২ এবং ৯০০ কিলোমিটার পাল্লার শাহীন-১ ক্ষেপনাস্ত্র মজুত আছে। এছাড়া পাকিস্তানের আজানা সংখ্যক ৬০ কিলোমিটার পাল্লার ট্যাকটিক্যাল সর্ট রেঞ্জ নসর ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়েন করেছে, যা পাকিস্তানের দৃষ্টিতে এটি একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।
.
আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পাকিস্তানের মিডিয়াম ২৭৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের শাহিন-৩ মিসাইলের আওতায় চলে আসছে ভারতের অধিকাংশ শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। মুলত মাঝারি পাল্লার এই শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র ভারতের জন্য নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ হতে দাঁড়াতে পারে। কারন পাকিস্তান অনেক আগে থেকেই এক রকম হুমকি দিয়ে আসছে ভারত পাকিস্তানে আক্রমন করলে তারা পরমানু অস্ত্র ব্যবহারে কোন রকম দ্বিধা করবে না। যেহেতু শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র এখন ভারতের প্রায় সব শহরে আঘাত হানতে সক্ষম বলে মনে করা হয়। তাই এক্ষেত্রে পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমনের ক্ষেত্রে ভারত নিশ্চিত ভাবেই অনেকটা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
.
তবে আর যাই হোক, পাকিস্তান অপেক্ষা ভারতের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু বেশ শক্তিশালী এবং আধুনিক। তাছাড়া ভারত ইতোমধ্যেই প্রায় ৬.২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে রাশিয়া থেকে ৫ রেজিমেন্ট এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন করেছে। যা চুক্তি মোতাবেক আগামী ২০২০ সালের মধ্যেই রাশিয়া ভারতকে সরবরাহ করবে। আবার ভারতের কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড সমৃদ্ধ ৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৪ অনেক আগে থেকেই মজুত আছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভারত তার কৌশলগত উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন প্রজন্মের ৫৫০০-৮০০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৫ ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে, যা আগামী দু এক বছরের মধ্যেই ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। আসলে স্ট্র্যাটিজিক্যাল অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রে একসাথে তিনটি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম এবং তা সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোটনের পারমানবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। এতে করে অগ্নি-৫ এর রেঞ্জের মধ্য চলে এসেছে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ এলাকাসহ চীনের একটি বিরাট অংশ। আবার ভারত পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর অজানা সংখ্যক সুপারসনিক গতির ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার বারমোস শর্ট রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করে রেখেছে। তার ফলে পাকিস্তানের পক্ষে যে কোন অবস্থায় ভারতে উপর পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা নিজের জন্য একটি আত্মঘাতী কাজ হবে এবং হয়তো বা খুব সহজেই নিউক্লিয়ার এট্যাক করা সম্ভব নাও হতে পারে। এছাড়া ভারত অত্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক তাদের নিজস্ব নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ভিত্তিক “সেকেন্ড ইন নিউক্লিয়ার এট্যাক ক্যাপাবিলিটি” ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিলিয়ন ডলার খরচ করে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রচলিত যুদ্ধের সক্ষমতায় ভারত খুব দ্রুত বিশ্বের বৃহৎ সামরিক পরশক্তির সমপর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ভারতের নিজস্ব অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম হিসেবে AAD (অ্যাডভান্স এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) ও PAD (পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সারা দেশব্যাপী গড়ে তুলছে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে ভারত ভবিষ্যতে পাকিস্তানের যে কোন ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমনের ৮০% পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবেই আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এদিকে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই বা তিন রেজিমেন্ট চীন থেকে মিডিয়াম রেঞ্জের এইচকিউ-১৬এ বা এইচকিউ-৯ সারফেস টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম সংগ্রহ করেছে বলে জানা যায়।
.
সিরাজুর রহমান (Sherazur Rahman), সহকারী শিক্ষক, ছোট চৌগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংড়া, নাটোর, বাংলাদেশ। sherazbd@gmail.com
Comments
Post a Comment