সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আমেরিকান কংগ্রেসের কমিটির রিপোর্ট মোতাবেক আগামী ২০২০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা চীনের সক্রিয় মোতায়েন যোগ্য যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে।
মুলত কমিশনের রিপোর্টের আলোকে দেখানো হয়েছে, আগামী ছয় বছরের মধ্যে চাইনিজ পিপলস লিবারেশন নেভাল ফোর্সের দ্রুত মোতায়েন যোগ্য সক্রিয় মোট যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা হবে ৩৫১টি। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে মোতায়েনযোগ্য মোট ২৮৯টি যুদ্ধাজাহাজ রয়েছে। এছাড়া এ কমিশন তাদের রিপোর্টে দক্ষিণ চিন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সাথে সংলগ্ন দেশগুলো এবং সর্বোপরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক উত্তেজনা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকির পেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে সার্বক্ষণিক কমপক্ষে ৬৭টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে।
আবার কমিশনের রিপোর্টে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক বাজেটের বিষয়ে উদ্দ্যেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, চলতি বছরে চীন সামরিক খাতে ১৩১.00 বিলিয়ন ডলার খরচ করছে যা গত বছরের চেয়ে ১২.২% বেশি এবং আগামী ২০১৭ সালে তা ১৬০.00 বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে চীনের নেভাল ফোর্সে একটি কনভেনশনাল পাওয়ার বেসড ৬৭৮০০ টনের এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার সক্রিয় আছে এবং আগামী এক দশকে কমপক্ষে আরও তিনটি নতুন প্রজন্মের নিউক্লিয়ার পাওয়ার বেসড এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার সার্ভিসে আনতে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া চীন তাদের বহরে থাকা ছয়টি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনের আধুনিকায়ন আব্যহত রেখেছে এবং আগামী এক দশকে আরও নতুন ছয়টি এডভান্স টেকনোলজি বেসড ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র সমৃদ্ধ পারমাণবিক সাবমেরিন সার্ভিসে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments

Popular posts from this blog

এক লিজেন্ডারী যুদ্ধবিমান এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেটঃ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার দ্রুত বাস্তবায়ন আর কত দূরে ?

এবার আমেরিকার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেতে যাচ্ছে তুরস্কঃ