জেড-১০ চীনের তৈরি নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক এট্যাক হেলিকপ্টার। মুলত জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টার রাশিয়ার কিমভ এট্যাক হেলিকপ্টার ডিজাইন ব্যুরো এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (সিএআইসি) উন্নয়ন ও উতপাদন করে যাচ্ছে। চীন ২০০৩ সালে জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টারের প্রথম প্রটোটাইপ কপির সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করে এবং ২০০৯-১০ সালে পরীক্ষামুলকভাবে ৮টি জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টার চীনের সেনাবাহীনির নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০১২ সাল থেকে ব্যাপকভাবে চীনের সামরিক বাহিনীতে সার্ভিসে আসে। এখনো পর্যন্ত চীনের চেংদু কর্পোরেশন প্রায় ১০০টি জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টার তৈরি করেছে। এছাড়া ২০১৫ সালে শেষের দিকে চীন ৩টি জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টার উপহার স্বরুপ পাকিস্তানকে সরবরাহ করে।
চীনের জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টার প্রাথমিকভাবে এন্টি-ট্যাংক ওয়ারফার মিশনের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হলেও এটি সমানভাবে এয়ার টু এয়ার এট্যাক মিশন পরিচালনায় বেশ কার্যকরী। দুই আসন বিশিষ্ট জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টারে অত্যন্ত শক্তিশালী দুটি ১৫৩১ হর্স পাওয়ারের (Pratt & Whitney PT6C-67C) টার্বোশিফটস ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৬০০০ মিটার উচ্চতায় ৩০০ কিলোমিটার গতিতে কমব্যাট মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম এবং এর রেঞ্জ সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার।
জেড-১০ এট্যাক হেলিকপ্টারে প্রাথমিক অস্ত্র হিসেবে ৩০০ রাউন্ডের একটি ইউনিক ৩০ এমএম ক্যানন সংযুক্ত আছে। এছাড়া, এতে ৮টি এইচজে-৯ অথবা এইচজে-১০ এন্টি-ট্যাংক মিসাইল এবং ৪টি শর্ট রেঞ্জ টিওয়াই-৯০ এয়ার টু এয়ার মিসাইল সংযুক্ত আছে যা নিশ্চিতভাবে জেড-১০ হেলিকপ্টারটিকে বিশ্বের প্রথম শারির এট্যাক হেলিকপ্টারের মর্যাদা দিয়েছে।
আমাদের ভবিষ্যত আকাশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য আমাদের সমষ্টিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনা করে  প্রয়োজনে ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় দুই বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে যাতে ২০৩০ সলের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কমপক্ষে ২০টি জেড-১০ এবং ১৬টি এমআই-২৮ আথবা এমআই-৫০ এট্যাক হেলিকপ্টার সংযোজন করা সম্ভব হয়।

Sherazur Rahman, সহকারী শিক্ষক, সিংড়া, নাটোর। sherazbd@gmail.com

Comments

Popular posts from this blog

এক লিজেন্ডারী যুদ্ধবিমান এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেটঃ

ভারত ও চীনের সীমান্ত উত্তেজনা...

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার দ্রুত বাস্তবায়ন আর কত দূরে ?